
পুরুষ যদি প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তাহলে সেই বিয়েটি অবৈধ হবে কি না—সম্প্রতি একটি ভিডিওতে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান।
তিনি বলেন, “যদি কোনো পুরুষ প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে চান বা প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে।”
তবে এই অনুমতি শুধু মুখে নিলেই হবে না, এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া। ব্যারিস্টার লিমা বলেন, “বিয়ের আগে পুরুষকে অবশ্যই এলাকার চেয়ারম্যানের সালিশি বোর্ড বা সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সেখানে একটি বৈঠকের আয়োজন হয়, যেখানে কেন দ্বিতীয় বিয়ে প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করতে হয়। আলোচনার পর চেয়ারম্যান প্রথম স্ত্রীর লিখিত অনুমোদন গ্রহণ করেন—এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই দ্বিতীয় বিয়ে আইনি হিসেবে বৈধ হয়।”
তবে বাস্তবে এই প্রক্রিয়া খুব কম ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয় বলে জানান তিনি। “আমরা দেখি না যে স্বামী এত নিয়ম মেনে প্রথম স্ত্রীর স্বেচ্ছায় অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করছেন,” যোগ করেন ব্যারিস্টার লিমা।
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো পুরুষ প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করে ফেলেন, তবু সেই বিয়েটি অবৈধ হয় না। আইন অনুযায়ী এটি বৈধ, তবে নীতিবিরুদ্ধ।”
এ ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রী চাইলে ফ্যামিলি কোর্টে মামলা করতে পারেন। ব্যারিস্টার লিমা জানান, “ফ্যামিলি কোর্ট বিষয়টি শুনে মীমাংসার চেষ্টা করে, কিন্তু কখনোই দ্বিতীয় বিয়ে বাতিল বা দ্বিতীয় স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার নির্দেশ দেয় না। মূলত কোর্ট সেই সমাধানের চেষ্টা করে, যা আসলে বিয়ের আগে স্থানীয় চেয়ারম্যানের অফিসে হওয়ার কথা ছিল।”
ব্যারিস্টার লিমা বলেন, “প্রথম স্ত্রীর অনুমোদন ছাড়াই স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলে তা নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হলেও আইনি দৃষ্টিতে বৈধ থাকে, শুধু প্রক্রিয়াগত দিক থেকে ত্রুটি থাকে।”