
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই পে কমিশন বাস্তবায়ন ও নবম পে স্কেল গেজেট জারির দাবি করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বলা হয়, পে স্কেল বাস্তবায়ন করা না হলে ১৮ লাখ কর্মচারী নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকবেন। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সমন্বয়ক মো. লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ‘পে কমিশন নির্বাচনের আগেই দিতে হবে। এটির বাস্তবায়ন না হলে কর্মচারীরা কঠোর আন্দোলনে যাবে। ১ ডিসেম্বর থেকে যত দিন পর্যন্ত পে কমিশন বাস্তবায়ন না হবে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
কর্মচারী নেতারা পে স্কেলসংক্রান্ত অন্যান্য দীর্ঘদিনের বঞ্চনা দূর করারও দাবি জানিয়ে বক্তারা জানান, ২০১৫ সালের পে স্কেল থেকে বাদ পড়া ৩টি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করতে হবে। বেতন জ্যেষ্ঠতা ফিরিয়ে আনতে হবে। সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্র্যাচুইটির পাশাপাশি পেনশন চালু করতে হবে। বর্তমান গ্র্যাচুইটি হার ৯০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করতে হবে। পেনশন গ্র্যাচুইটিতে প্রতি ১ টাকার সমমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং কর্মচারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানান।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গত বুধবার (১২ নভেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে স্কেলের সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী নয়, বরং আগামী নির্বাচিত সরকার নেবে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার বেতন কমিশনের প্রতিবেদন (বেতন কাঠামো) চূড়ান্ত করে যাবে। ইত্তেফাক