1. monoarulhasanmanik@gmail.com : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা
  2. info@www.prathomikshikshabarta.com : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা :
শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গারো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে ৫০ জাতের বিদেশি আঙুর/50 varieties of foreign grapes are being cultivated in the Garo Hills চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস/Heavy rain forecast in four divisions প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, পরিবর্তন আসছে বিধিমালায়/17,000 teachers to be appointed in primary schools, changes to rules coming অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর অবহেলায় শিক্ষা খাত, সংস্কারে কমিশনও করা হয়নি/Education sector neglected for a year under interim government, no commission for reforms শিক্ষার্থী সংকটে ধুঁকছে শহরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়/City’s government primary schools grapple with student shortage অবশেষে পরিবর্তন হলো উত্তরাধিকার সম্পত্তির ভাগাভাগি পদ্ধতি, নতুন নিয়মে সম্পত্তি বণ্টন হবে যেভাবে…Finally, the method of sharing inherited property has changed, the new rules will see how property will be distributed… বেতন নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় সুখবর/Big good news for primary teachers regarding salaries সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তিতে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহন কেন বৈষম্য নয়/Why is it not discrimination for kindergarten and private school students to participate in government primary school scholarships? প্রাথমিকের শিক্ষকদের সুখবর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা/Chief Advisor gives good news to primary teachers যে ভিটামিনের অভাবে অকালে চুল পড়েযে ভিটামিনের অভাবে অকালে চুল পড়ে/Vitamin deficiency causes premature hair loss

গারো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে ৫০ জাতের বিদেশি আঙুর/50 varieties of foreign grapes are being cultivated in the Garo Hills

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

থোকায় থোকায় ঝুলছে একেলো, ডিকসন, ব্ল্যাক ম্যাজিক, বাইনুকা, ইসাবেলা, পারলেট, গ্রিন লং, আনাব-এ-শাহীসহ ৫০ জাতের লাল, কালো ও সবুজ রঙের আঙুর। এ দৃশ্য শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি গ্রাম মেঘাদলের। কৃষি উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান তার বাড়ির আঙিনায় ৩০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন এসব আঙুর। ফলন ভালো হওয়ায় যা দেখতে রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। এদিকে কৃষি বিভাগও দিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত পরামর্শ।

মিজানুর রহমান জানান, তার বাবা আ. জলিল মিয়া ২০২২ সালে ভারতে ঘুরতে গিয়ে শখের বশে প্রথমে দুই জাতের ১০টি আঙুরের চারা নিয়ে আসেন। সেগুলো নিজের জমিতে রোপণ করেন। চারা লাগানোর ১০ মাস পর বাগানে আসতে থাকে মিষ্টি ফল। পরে ৩০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষ শুরু করেন। এতে তিনি ৫০ জাতের আঙুর গাছ রোপণ করেন।
বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে ১৫০টি গাছ আছে। এর মধ্যে ৫০টি গাছে ফল এসেছে। ২০টি গাছে ১০ থেকে ১২ কেজি করে ফল ধরেছে। বাকি গাছগুলোর বয়স কম থাকায় দেড় থেকে দুই কেজি করে ফল এসেছে। সম্প্রতি তিনি স্বল্প পরিমাণে সবুজ আঙুর প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এসব আঙুর স্থানীয়রা কিনছেন।

খরচ কেমন হয়েছে এমন প্রশ্নে মিজান বলেন, ‘আমাদের গ্রামটা মূলত পাহাড়ি এলাকায়। তাই শ্রমিক খরচ তুলনামূলক কম। গাছ রোপণ ও পরিচর্যায় মিজানুরের ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।’ যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তাতে তিনি আশাবাদী। আগামী দিনে তিনি বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষের পরিকল্পনা করছেন। মিজানুর ও তার বাবা মিলে উৎপাদন করছেন আঙুরের চারা। মিজানুরের স্বপ্ন আঙুরের বাগানটি বড় পরিসরে তৈরি করার। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী ভারত সীমান্তঘেঁষা মেঘাদল গ্রামে দেড় একর জমি তৈরি করছেন আঙুর চাষের জন্য।

মিজান বলেন, ‘একেলো, ডিকসন, ব্ল্যাক ম্যাজিক, বাইনুকা, ইসাবেলা, পারলেট, আনাব-এ-শাহীসহ অন্য জাতগুলো আমি অনলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া, ইউক্রেন, পাকিস্তান, চীনসহ প্রায় আটটি দেশ থেকে সংগ্রহ করেছি।’
মিজানুরের সফলতা দেখে এলাকার অনেকে আঙুর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে মিজানুরের আঙুর বাগান দেখতে আসেন অনেকে। কেউ কেউ মিজানুর রহমানের কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন।
পার্শ্ববর্তী বাবেলাকোনা গ্রামের বাসিন্দা দালবত মারাক বলেন, ‘মিজানুরের বাগানের আঙুর খেয়েছি, দারুণ মিষ্টি। আমরা বাজারে যে আঙুর পাই, তার চেয়ে এগুলো অনেক মিষ্টি। আমি আগামীতে পরিবারের চাহিদার জন্য আপাতত দশটি চারা নেবো।’
শেরপুর শহর থেকে দেখতে আসা মনির হোসেন বলেন, ‘আমি ফেসবুকে ছবি দেখে আসলাম। এসে তো আশ্চর্য, বাজারের আঙুরের চেয়ে অনেক ভালো মানের আঙুর এগুলো। পরিবারের জন্য ১ কেজি কিনে নিলাম। মিজান ভাইয়ের কাছ থেকে পাঁচটি চারাও নেবো।’
মিজানুরের বাবা আ. জলিল মিয়া বলেন, ‘ভারত থেকে শখের বশে আঙুরের চারা এনেছিলাম। পরে দুই ধাপে আরও কিছু চারা আনি। মনে করেছিলাম, চারাগুলো হবে না। কিন্তু আস্তে আস্তে সেগুলো বড় হয় এবং ফলনও আসে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাখওয়াত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আঙুর বাগান পরিদর্শন করেছি। মিজানুর রহমান দুই বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষ করছেন। আগামী দিনে নতুন করে আরও বড় আকারে তিনি আঙুর চাষের পরিকল্পনা করছেন। এতে কৃষি কার্যালয় থেকে তাকে নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন কোনো উদ্যোক্তা চাইলে তাদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবো।’র্কাটেসী:জাগোনিউজ

 

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট