1. monoarulhasanmanik@gmail.com : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা
  2. info@www.prathomikshikshabarta.com : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা :
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা স্মার্টফোনে পাবেন যেভাবে/How to get earthquake warnings on your smartphone কিডনি ভালো রাখতে এই ৫ খাবার খান/Eat these 5 foods to keep your kidneys healthy. নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে কমিশন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে মন্ত্রণালয়ের চিঠি/Ministry’s letter to pay primary assistant teachers’ salaries in 11th grade পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল/Latest news on pay scale implementation সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার /Financial advisor urges government officials and employees to be patient স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও-ডিসি/UNO-DC takes charge of school and college presidents পে স্কেলের গেজেট না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি সরকারি কর্মচারীদের/Government employees warn of tough agitation if pay scale gazette is not issued আগামীকাল থেকে প্রাইমারিতে ‘স্কুল ফিডিং’ শুরু, প্রতিদিনই ভিন্ন খাবার/’School feeding’ starts in primary schools from tomorrow, different food every day ৫০০-তে বাংলাদেশের তৃতীয় তাইজুল/Bangladesh’s third Taijul in 500

গারো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে ৫০ জাতের বিদেশি আঙুর/50 varieties of foreign grapes are being cultivated in the Garo Hills

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৯৭ বার পড়া হয়েছে

থোকায় থোকায় ঝুলছে একেলো, ডিকসন, ব্ল্যাক ম্যাজিক, বাইনুকা, ইসাবেলা, পারলেট, গ্রিন লং, আনাব-এ-শাহীসহ ৫০ জাতের লাল, কালো ও সবুজ রঙের আঙুর। এ দৃশ্য শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি গ্রাম মেঘাদলের। কৃষি উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান তার বাড়ির আঙিনায় ৩০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন এসব আঙুর। ফলন ভালো হওয়ায় যা দেখতে রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। এদিকে কৃষি বিভাগও দিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত পরামর্শ।

মিজানুর রহমান জানান, তার বাবা আ. জলিল মিয়া ২০২২ সালে ভারতে ঘুরতে গিয়ে শখের বশে প্রথমে দুই জাতের ১০টি আঙুরের চারা নিয়ে আসেন। সেগুলো নিজের জমিতে রোপণ করেন। চারা লাগানোর ১০ মাস পর বাগানে আসতে থাকে মিষ্টি ফল। পরে ৩০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষ শুরু করেন। এতে তিনি ৫০ জাতের আঙুর গাছ রোপণ করেন।
বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে ১৫০টি গাছ আছে। এর মধ্যে ৫০টি গাছে ফল এসেছে। ২০টি গাছে ১০ থেকে ১২ কেজি করে ফল ধরেছে। বাকি গাছগুলোর বয়স কম থাকায় দেড় থেকে দুই কেজি করে ফল এসেছে। সম্প্রতি তিনি স্বল্প পরিমাণে সবুজ আঙুর প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এসব আঙুর স্থানীয়রা কিনছেন।

খরচ কেমন হয়েছে এমন প্রশ্নে মিজান বলেন, ‘আমাদের গ্রামটা মূলত পাহাড়ি এলাকায়। তাই শ্রমিক খরচ তুলনামূলক কম। গাছ রোপণ ও পরিচর্যায় মিজানুরের ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।’ যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তাতে তিনি আশাবাদী। আগামী দিনে তিনি বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষের পরিকল্পনা করছেন। মিজানুর ও তার বাবা মিলে উৎপাদন করছেন আঙুরের চারা। মিজানুরের স্বপ্ন আঙুরের বাগানটি বড় পরিসরে তৈরি করার। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী ভারত সীমান্তঘেঁষা মেঘাদল গ্রামে দেড় একর জমি তৈরি করছেন আঙুর চাষের জন্য।

মিজান বলেন, ‘একেলো, ডিকসন, ব্ল্যাক ম্যাজিক, বাইনুকা, ইসাবেলা, পারলেট, আনাব-এ-শাহীসহ অন্য জাতগুলো আমি অনলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া, ইউক্রেন, পাকিস্তান, চীনসহ প্রায় আটটি দেশ থেকে সংগ্রহ করেছি।’
মিজানুরের সফলতা দেখে এলাকার অনেকে আঙুর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে মিজানুরের আঙুর বাগান দেখতে আসেন অনেকে। কেউ কেউ মিজানুর রহমানের কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন।
পার্শ্ববর্তী বাবেলাকোনা গ্রামের বাসিন্দা দালবত মারাক বলেন, ‘মিজানুরের বাগানের আঙুর খেয়েছি, দারুণ মিষ্টি। আমরা বাজারে যে আঙুর পাই, তার চেয়ে এগুলো অনেক মিষ্টি। আমি আগামীতে পরিবারের চাহিদার জন্য আপাতত দশটি চারা নেবো।’
শেরপুর শহর থেকে দেখতে আসা মনির হোসেন বলেন, ‘আমি ফেসবুকে ছবি দেখে আসলাম। এসে তো আশ্চর্য, বাজারের আঙুরের চেয়ে অনেক ভালো মানের আঙুর এগুলো। পরিবারের জন্য ১ কেজি কিনে নিলাম। মিজান ভাইয়ের কাছ থেকে পাঁচটি চারাও নেবো।’
মিজানুরের বাবা আ. জলিল মিয়া বলেন, ‘ভারত থেকে শখের বশে আঙুরের চারা এনেছিলাম। পরে দুই ধাপে আরও কিছু চারা আনি। মনে করেছিলাম, চারাগুলো হবে না। কিন্তু আস্তে আস্তে সেগুলো বড় হয় এবং ফলনও আসে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাখওয়াত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আঙুর বাগান পরিদর্শন করেছি। মিজানুর রহমান দুই বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষ করছেন। আগামী দিনে নতুন করে আরও বড় আকারে তিনি আঙুর চাষের পরিকল্পনা করছেন। এতে কৃষি কার্যালয় থেকে তাকে নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন কোনো উদ্যোক্তা চাইলে তাদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবো।’র্কাটেসী:জাগোনিউজ

 

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট