জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া গ্রামে ‘জামালপুর-১ অনুসন্ধান’ নামের গ্যাসকূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে কূপ থেকে ৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন ঘনফুট চাপে গ্যাস বের হচ্ছে।
‘জামালপুর-১ অনুসন্ধান’ কূপ খনন প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ২ হাজার ৬০০ মিটার খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৪৪ মিটার মাটির নিচের স্তর থেকে ৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন ঘনফুট চাপে গ্যাস বের হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে কী পরিমাণ গ্যাস আছে, তা জানা যাবে। এ ছাড়া তেল বা পদার্থ আছে কি না, তা পরীক্ষা শেষে জানা যাবে।
প্রকল্পের পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, কূপটিতে কী পরিমাণ গ্যাস আছে। পরীক্ষা শেষে গ্যাসের পরিমাণ জানা যাবে। বের হওয়া গ্যাসের মধ্যে অন্য কোনো খনিজ পদার্থ আছে কি না, সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।’
বাপেক্স সূত্রে জানা গেছে, দেশের গ্যাসসংকট মোকাবিলায় দেশি জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানে কাজ করছে সরকার। এই লক্ষ্যে ২০২৪-২০২৬ অর্থবছরে সরকার মোট ৫০টি কূপ অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারই অংশ হিসেবে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আওতাধীন বাপেক্স এক্সপ্লোরেশন ব্লক-৮-এর জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া গ্রামে ১৯৮০ সালের সাইসমিক জরিপ, ২০১৪-১৫ সালের সাইসমিক জরিপ ও ২০১৫-১৬ সালের ক্লোজ গ্রিড সাইসমিক জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে ‘জামালপুর-১ অনুসন্ধান’ কূপটি খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কূপ খননের কাজ শুরু হয়। বাপেক্সের প্রকৌশলী, শ্রমিকসহ ২২০ জন ব্যক্তি খননকাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি কূপ খননের স্থানে ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়। ২৪ জানুয়ারি কূপের আনুষ্ঠানিক খননকাজের উদ্বোধন করে বাপেক্স। এর আগে ২০১৪ সালে একই এলাকায় গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।