
গুগলের ক্রোম ব্রাউজারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গত মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ওয়েব ব্রাউজার ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’ উন্মুক্ত করেছে ওপেনএআই। এআই ব্রাউজারটি ব্যবহারকারীদের আগের অনুসন্ধানের সব তথ্য মনে রাখতে পারে এবং এআই এজেন্ট মোডের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে কাজের পরামর্শ দিতে পারে। আর তাই চালুর পরপরই চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস ব্রাউজারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) ব্রাউজারটি সরাসরি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যেকোনো ওয়েবসাইটে থাকা তথ্য সংক্ষেপে তুলে ধরার পাশাপাশি ই–মেইলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নির্বাচন করতে পারে। এআই এজেন্ট মোডের মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন কাজও করতে পারে ব্রাউজারটি। আর তাই ব্রাউজারটিতে ‘প্রম্পট ইনজেকশন’ হামলার ঝুঁকি রয়েছে। সাইবার অপরাধীরা চাইলে ক্ষতিকর ওয়েব কনটেন্টের মধ্যে লুকানো নির্দেশনা যুক্ত করে ব্রাউজারের এআই এজেন্টকে ভুলভাবে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহে প্ররোচিত করতে পারে।
অ্যাটলাস এআই ব্রাউজারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হলেও ওপেনএআই জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাজার ঘণ্টা ‘রেড টিমিং’ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। অ্যাটলাস এআই ব্রাউজারে থাকা এআই এজেন্ট ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে কোড চালাতে, ফাইল ডাউনলোড করতে বা অন্য অ্যাপ অ্যাক্সেস করতে পারবে না। সংবেদনশীল ওয়েবসাইটে (যেমন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান) প্রবেশের সময় এজেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ বন্ধ করবে।
সম্প্রতি ব্রেভ ব্রাউজারের গবেষকেরা পারপ্লেক্সিটির ‘কমেট’ নামের আরেকটি এআই ব্রাউজারে একটি নিরাপত্তা দুর্বলতা শনাক্ত করেন। এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা লুকানো নির্দেশনা দিয়ে এআই এজেন্টকে ব্যবহারকারীর ব্যাংক, ই–মেইল বা অন্যান্য লগইন করা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করাতে পারে এবং সেখান থেকে তথ্য চুরি করতে পারে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস