1. monoarulhasanmanik@gmail.com : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা
  2. info@www.prathomikshikshabarta.com : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা :
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
৪৫তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা ১৬ জুলাই/45th BCS oral exam on July 16 এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে যেভাবে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে/How to get high marks in English second paper in HSC exam এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে/Transfer of MPO-listed teachers to begin using automated software in July ঘুমের সমস্যা দূর করার নয়টি সহজ উপায়/Nine easy ways to overcome sleep problems ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি-এসপিদের কর্তৃত্ব বাতিল/DC-SPs’ authority to set up polling stations revoked আম খাওয়ার যত উপকারিতা/The benefits of eating mangoes কেন প্রতিদিন শরীরে রোদ লাগানো জরুরি? জেনে নিন/Why is it important to expose your body to sunlight every day? Find out আধুনিক যুগে আপনাকে এই দশটি বিষয় জানতে হবে/You need to know these ten things in the modern era সুখবর পেলেন সরকারি চাকরিজীবীরা/Government employees received good news মার্কিন হামলার পর প্রথম ভিডিও বার্তায় যা যা বললেন খামেনি/What Khamenei said in first video message after US attack

আম খাওয়ার যত উপকারিতা/The benefits of eating mangoes

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

 

বাংলার বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাসকে বলা হয় মধুমাস। মধুমাস বলার কারণও আছে। বছরের মধুর মধুর ফলগুলো পাওয়া যায় এই জৈষ্ঠ্য মাসেই। এই সময়ে জাতীয় ফল কাঁঠাল, ফলের রাজা আমে ছেঁয়ে যায় বাজার। যদিও আষাড় কড়া নাড়ছে দরজায়, তবে প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় একটু মিষ্টি স্বাদ নিতে তাল শাসের যেন জুড়ি নেই। সঙ্গে আছে জাম আর লিচু। তবে জনপ্রিয়তার প্রশ্নে আমকে টেক্কা দেওয়া প্রায় অসম্ভব।

২০১০ সালের ১৫ নভেম্বর আম গাছকে জাতীয় বৃক্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আমে প্রচুর ভিটামিন-এ বা ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, খনিজ ও ক্যালোরি রয়েছে । ভিটামিন-এ এর দিক থেকে আমের স্থান পৃথিবীর প্রায় সব ফলেরই উপরে । ইউএসডিএ পুষ্টি ডেটাবেস অনুসারে প্রতি ১০০ গ্রাম আমে ৬০ কিলোকালরি শক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া শর্করা (১৫ গ্রাম), স্নেহ পদার্থ (০.৩৮ গ্রাম), প্রোটিন ০.৮২ গ্রাম) এবং বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিনের সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধাতু। তাই জৈষ্ঠ্যের শেষ বেলায় আসুন জেনে নেওয়া যাক, আমের উপকারিতা-
১. কর্মশক্তি বৃদ্ধি: আমে রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট, যা কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিমিত পরিমাণ আম শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য আমের পাতা বেশ উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা ৫-৬টি আম পাতা ধুয়ে একটি পাত্রে সেদ্ধ করে নিয়ে সারারাত রেখে সকালে ছেঁকে নিয়ে পান করুন, তাহলে এটা ইন্সুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া এই ফল মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

২. চোখের যত্নে: আমে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন যা চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি-কাশিও দূর করে। শুধুমাত্র এক কাপ পাকা আম খেয়ে সারাদিনের ভিটামিন-এ এর চাহিদার ২৫ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব। এটি দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে, চোখের শুষ্কতা ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
৩. হজমে সহায়ক: আম একটি প্রিবায়োটিক ফল, যা আমাদের পাকস্থলীর বিভিন্ন গাট ব্যাক্টেরিয়ার জন্য উপকারী। ৩/৪ কাপ আমে থাকে ডায়েটারি ফাইবারের প্রায় ৭ শতাংশ। যা হজম ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৪. ঘুমে সহায়ক : আমে আছে ট্রিপটোফ্যান, মেলাটোনিন, ও ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের ঘুমকে ত্বরান্বিত করে। অনিদ্রা দূর করে।

৫. ওজন কমায়: আমে আছে বিভিন্ন রকম ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান। তাই একটি আম খেলেই সারা দিনের ভিটামিনের চাহিদা মিটে যায়। আবার এতে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে। তাই ওজন কমাতে আম খেতে পারেন।
৬. হিট স্ট্রোক ঠেকাবে: এই গরমে হিট স্ট্রোক সাধারণ ঘটনা। আম আমাদের ভেতরটা শীতল রাখে ও শরীরকে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়।
৭. হাড় গঠনে: আমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় গঠনে সাহায্য করে। সুতরাং প্রতিটি মানুষের আম খাওয়া প্রয়োজন। তাহলে হাড় ও দাঁত সুস্থ থাকবে।
৮. কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ: আম প্রচুর খাদ্য আঁশ, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর। আম উচ্চ আঁশযুক্ত হওয়ায় তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটা হজমের জন্য ভালো এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। তাই যাদের হজমের সমস্যা আছে, তারা আম খেলে অনেক উপকার পাবেন।

৯. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা: আমে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন-সি, পেকটিন ও আঁশ কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আম পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস যা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ঘামের কারণে শরীর থেকে সোডিয়াম বের হয়ে যায়। আর কাঁচা আম শরীরের সেই সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। কাঁচা আমের পেকটিন গ্যাস্ট্রোইন টেস্টাইনাল রোগের চিকিৎসায়ও অত্যন্ত উপকারী। আমে উচ্চ আঁশ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় তা হৃদরোগের সম্ভাবনাকে কমায় এবং এর বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্তস্বল্পতা দূর করে ও হৃদযন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে।

১০. ক্যান্সার প্রতিরোধ: আম ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান পালন করে। গবেষকরা বলেছেন যে, আমে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও উচ্চ পরিমাণ খাদ্য আঁশ থাকার কারণে এটা কোলন ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, রক্তস্বল্পতা, লিউকেমিয়া ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও ক্যারোটিন, আইসো-কেরোটিন, এস্ট্রাগ্যালিন, ফিসেটিন, গ্যালিক এসিড ইত্যাদি এনজাইম ক্যানসার প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।
১১. তারুণ্য ধরে রাখতে: আমে থাকা ভিটামিন-সি কোলাজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে যার ফলে ত্বক সতেজ ও টানটান হয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই যা ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। এছাড়া, ভিটামিন-ই থাকাতে এটা সেক্স হরমোনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

১২. মর্নিং সিকনেস দূরীকরণ: কাঁচা আম গর্ভাবস্থার উপসর্গের তীব্রতা কমাতে এবং ঘন ঘন মর্নিং সিকনেস হওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে । নিয়মিত কাঁচা আম খেলে মর্নিং সিকনেস পুরোপুরি দূর হয়।

১৩. স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে: আমের ভিটামিন-সি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। দাঁত, মাড়ি, ত্বক ও হাড়ের সুস্থতা রক্ষা করতেও সাহায্য করে ভিটামিন-সি। এছাড়া, আমে ভিটামিন-এ এবং বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২৫টি ক্যারোটিনয়েড থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

আমের এত গুণ থাকলেও সাবধান থাকতে হবে বাজারের বিষাক্ত কেমিকেল দেওয়া আম থেকে। আজকাল বাজারের টসটসে আমের প্রায় সবই কার্বাইড নামক বিষ প্রয়োগ করে পাকানো হচ্ছে। কারণ, আম অত্যন্ত পচনশীল একটি ফল। ফরমালিনসহ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক মিশিয়ে ব্যবসায়ীরা এ ফল ৬ থেকে ৭ মাস পর্যন্ত রেখে দিতে পারে। তাই বলে আম খাব না তা কী করে হয়! আর এ জন্য মৌসুমী ফল মৌসুমে খেলে রাসায়নিকের পরিমাণ কমানো সম্ভব। কেননা এ সময় কার্বাইড, ফরমালিনের মতো পদার্থের প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে।লেখক: ড. ফোরকান আলী

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট