এ পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য পাঁচ দফা নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গণপরিবহন ও জনসমাগম স্থলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, অপরিষ্কার হাতে মুখমণ্ডল স্পর্শ না করার জন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সচেতন করা এবং হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।
সোমবার (৯ জুন) রাতে ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘করোনার নতুন ধরনের বিস্তার রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাইডলাইন কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিরাপত্তাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় থার্মাল স্ক্যানার বা ডিজিটাল থার্মোমিটারের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া করোনার লক্ষণ দেখা দিলে ঘরে থাকা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া। জরুরি প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইন ০১৪০১-১৯৬২৯৩-এ যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাসমূহ:
মাস্ক ব্যবহার করুন।
আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকুন।
অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না।
হাঁচি-কাশির সময় হাত/টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
পয়েন্টস অব এন্ট্রিসমূহের জন্য নির্দেশনা:
দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিসমূহে থার্মাল স্কান্যার/ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করতে হবে।
চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখতে হবে (পিপিই)।
ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাসমূহ প্রচার করতে হবে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়:
অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে কাছের হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
রোগীকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)।