1. monoarulhasanmanik@gmail.com : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা
  2. info@www.prathomikshikshabarta.com : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা :
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা স্মার্টফোনে পাবেন যেভাবে/How to get earthquake warnings on your smartphone কিডনি ভালো রাখতে এই ৫ খাবার খান/Eat these 5 foods to keep your kidneys healthy. নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে কমিশন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে মন্ত্রণালয়ের চিঠি/Ministry’s letter to pay primary assistant teachers’ salaries in 11th grade পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল/Latest news on pay scale implementation সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার /Financial advisor urges government officials and employees to be patient স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও-ডিসি/UNO-DC takes charge of school and college presidents পে স্কেলের গেজেট না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি সরকারি কর্মচারীদের/Government employees warn of tough agitation if pay scale gazette is not issued আগামীকাল থেকে প্রাইমারিতে ‘স্কুল ফিডিং’ শুরু, প্রতিদিনই ভিন্ন খাবার/’School feeding’ starts in primary schools from tomorrow, different food every day ৫০০-তে বাংলাদেশের তৃতীয় তাইজুল/Bangladesh’s third Taijul in 500

বাজেটে সংস্কারের সুপারিশের প্রতিফলন কমই থাকছে/Reform recommendations are rarely reflected in the budget

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১ জুন, ২০২৫
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত টাস্কফোর্স ও কমিটিগুলোর সুপারিশের প্রতিফলন খুব বেশি থাকছে না আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে। থাকছে না নতুন কোনো অর্থনৈতিক পথনকশা। বাজেট ব্যবস্থাপনা আগে যেভাবে করা হতো, নতুন অর্থবছরেও সে রকমই থাকছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্কার করার সক্ষমতার ঘাটতি ও সদিচ্ছার অভাব—দুটোই হতে পারে এর অন্যতম কারণ। ফলে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আরেকটি গতানুগতিক বাজেটই আসছে। তবে অন্যতম ব্যতিক্রম হিসোবে এবার বাজেট বক্তব্য ছোট করবেন অর্থ উপদেষ্টা।

সরকার পরিবর্তনের পর সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রথমে হয়েছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। এরপর হয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত টাস্কফোর্স।
কমিটি ৩৯৭ পৃষ্ঠার ও টাস্কফোর্স ৫২৬ পৃষ্ঠার সুপারিশ–সংবলিত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে। তার পর গঠন করা হয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার কমিটি। এ কমিটি অবশ্য এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরিতে পরেনি, তবে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

কিন্তু বাজেট প্রণয়ন করতে গিয়ে সুপারিশগুলোকে খুব বেশি আমলে নিচ্ছে না অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। ফলে অর্থনৈতিক সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, শ্বেতপত্র ও টাস্কফোর্সের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা থাকবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। আর কিছু রাখা হবে পরের অর্থবছরের জন্য। কারণ, অর্থ বিভাগ মনে করছে নির্বাচিত সরকার ছাড়া প্রকৃত সংস্কার আনার সুযোগ কম।
শ্বেতপত্র কমিটির সুপারিশের কী হবে
শ্বেতপত্র কমিটি আগামী দুই বছরের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়েছিল। এ ছাড়া অবিলম্বে স্বল্প মেয়াদে কিছু বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ারও সুপারিশ করেছিল এ কমিটি। এগুলো হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া, আগামী অর্থবছরের পাশাপাশি ২০২৬-২৭ সময়ের জন্যও পরিকল্পনা করা, সংস্কারের অগ্রাধিকার ঠিক করা, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের কৌশল ঠিক করা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের গতি বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে একটি সংলাপের আয়োজন করা। বাজেটে এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ থাকছে না।

গত ১৬ ডিসেম্বর শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনের কথা উঠে এসেছিল প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, প্রতিবেদন পড়ে দেশের মানুষ হতভম্ব হয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে দিয়ে গেছে এটা সবাই বুঝতে পারছিল। কিন্তু অর্থনীতিকে কী পরিমাণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিয়ে গেছে তার পরিমাপ সম্পর্কে কোনো ধারণা করতে পারছিল না। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি হিসাব-নিকাশ করে এর পরিমাণ বের করে দিয়েছে। ড. ইউনূস আরও বলেছিলেন, প্রতিবছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে হার দেখানো হয়েছে, সেটাও মনগড়া। দেশকে ও পৃথিবীকে বলা হচ্ছিল, কী সুন্দর দেশ বাংলাদেশ, লাফিয়ে লাফিয়ে তার উন্নয়ন এগিয়ে চলছে।

শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্যের উদাহরণ টেনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, অর্থাৎ বিবিএস জিডিপির প্রবৃদ্ধির যে হিসাব দিয়েছে, তা তো পুরোনো তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই। প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবেই বলেছেন, হিসাবগুলো ঠিক ছিল না। অথচ তার ভিত্তিতেই আগামী অর্থবছরের বাজেট করা হচ্ছে। এতে আমি বাজেট প্রণয়নে প্রধান উপদেষ্টার তরিকার বৈপরীত্য দেখতে পাচ্ছি।’

দেবপ্রিয় আরও বলেন, অর্থ উপদেষ্টা ফ্যাসিবাদী কাঠামোতেই এগিয়ে গেলেন। তিনি চলতি অর্থবছরের বাজেট সংশোধন করলেন, রাজস্ব বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা কমালেন এবং আগামী অর্থবছরের জন্য পরোক্ষ করের ওপরই নির্ভরশীল থাকলেন। কিন্তু তিনি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে কোন ভিত্তিতে কী বাদ দিলেন ও কী রাখলেন, তা পরিষ্কার করলেন না। দেবপ্রিয় বলেন, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সংসদে বিবৃতি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। সংসদ নেই বলে কি আর্থিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া যায় না? না দিলে মানুষ জানবে কীভাবে যে সরকার ভালো করছে না খারাপ করছে?

টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে প্রগতিশীল করব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করা হয়। বলা হয়, ধনীদের কাছ থেকে বেশি কর আদায় করা হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো এবং সেবা সহজলভ্য করার ওপরও জোর দিতে বলেছে। এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বিমানকে দুই ভাগে বিভক্ত করে একটি অংশ বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ সুপারিশ বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেই। বছরে ১০ লাখ ডলারের বেশি রপ্তানি করে, এমন দেড় হাজার প্রতিষ্ঠানকে পরিচর্যা করে রপ্তানি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এ নিয়েও কোনো পরিকল্পনা বা উদ্যোগ নেই।

তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বজায় রাখা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতও রয়েছে মোটামুটি ভালো অবস্থায়। নতুন বাজেট ঘোষণার আগেই ঠেকেছে রিজার্ভের পতন। তবে অর্থনীতির এসব ইতিবাচক সূচক কীভাবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, সেটাই বড় চ্যারেঞ্জ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কৌশল নির্ধারণ কমিটির সুপারিশ কতটা মানবে
অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান কে এ এস মুরশিদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী অর্থবছরের বাজেটে টাস্কফোর্সের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ থাকবে বলে আমরা আশা করতে পারি। বিশেষ করে কৃষি, শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ডিজিটাল প্রযুক্তিকে সহজলভ্য করতে হবে।’

বাংলাদেশ বিমানকে দুই ভাগ করা, দেড় হাজার রপ্তানিকারককে নীতি সহায়তা করাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হলেও শেষ পর্যন্ত এগুলোর ব্যাপারে বাজেটে কোনো দিকনির্দেশনা থাকবে কি না, এ ব্যাপারে সন্দিহান কে এ এস মুরশিদ।

এনবিআর সংস্কারের ভবিষ্যৎ কী
এনবিআর সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন তৈরির কাজ কবে শেষ হবে, তা জানা যায়নি। তবে প্রতিবেদন তৈরির আগেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে এনবিআরকে নীতি বিভাগ ও বাস্তবায়ন বিভাগ নামে দুই ভাগ করার যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা কঠিন পড়ে পড়েছে। এনবিআরের ভেতর থেকে আন্দোলন শুরু হওয়ায় সরকার এখন এ অধ্যাদেশ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সব মিলিয়ে বাজেটে নতুন কিছুই কি থাকছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ বিভাগের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা জানান, অবশ্যই থাকছে। এই যে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ হয়েছে, তার প্রয়োগ ঘটাতে আগামী বাজেটে বিশেষ তহবিল করা হচ্ছে।
পুঁজিবাজার আগের মতোই
পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে নেমেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে সূচক সর্বনিম্ন অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। পুঁজিবাজারের অবস্থা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেমন খারাপ ছিল, এখনো তাই আছে। পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে গত বছরের অক্টোবরে। টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পুজিবাজারের আকার, তথা জিডিপি ও বাজার মূলধন অনুপাত কম হওয়ার প্রধান কারণগুলো চিহ্নিত করা ও উন্নতির জন্য নীতি প্রণয়নের প্রস্তাব; দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে ব্যাংকঋণের বদলে পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নে সরকারের নীতি প্রণয়ন ও এ–সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিএসইসির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের সুপারিশ করা ইত্যাদি। তবে টাস্কফোর্স ছয়টি বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলছে।

টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গত বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৭টি বিষয় নিয়ে সুপারিশ করতে একটু সময় লাগবে। আমরা কাজ করছি। আশা করছি, প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার পুঁজিবাজারে স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শ্বেতপত্র কমিটি ও টাস্কফোর্স থেকে আমরা একেবারেই যে সুপারিশ নেইনি, তা নয়। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বা কালোটাকা সাদা করার বিষয়ে তাদের সুপারিশ আমলে নেওয়া হয়েছে।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সব সুপারিশ আমলে নেওয়ার বাস্তবতা নেই। আর বাজেটের মধ্যে সব আনাও যায় না। ডেটা কমিশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অস্বীকার করছি না। অন্য সুপারিশগুলোও গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলোর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। তবে বাস্তবতা ও সীমাবদ্ধতার কারণেই সবকিছুতে হাত দিতে পারিনি।’সূত্রঃপ্রথমআলো

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট