1. monoarulhasanmanik@gmail.com : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা
  2. info@www.prathomikshikshabarta.com : দৈনিক প্রাথমিক শিক্ষা বার্তা :
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা স্মার্টফোনে পাবেন যেভাবে/How to get earthquake warnings on your smartphone কিডনি ভালো রাখতে এই ৫ খাবার খান/Eat these 5 foods to keep your kidneys healthy. নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে কমিশন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে মন্ত্রণালয়ের চিঠি/Ministry’s letter to pay primary assistant teachers’ salaries in 11th grade পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল/Latest news on pay scale implementation সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার /Financial advisor urges government officials and employees to be patient স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও-ডিসি/UNO-DC takes charge of school and college presidents পে স্কেলের গেজেট না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি সরকারি কর্মচারীদের/Government employees warn of tough agitation if pay scale gazette is not issued আগামীকাল থেকে প্রাইমারিতে ‘স্কুল ফিডিং’ শুরু, প্রতিদিনই ভিন্ন খাবার/’School feeding’ starts in primary schools from tomorrow, different food every day ৫০০-তে বাংলাদেশের তৃতীয় তাইজুল/Bangladesh’s third Taijul in 500

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি বিতরণের ময়না তদন্ত/Post-mortem examination of government primary school stipend distribution

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ২৭৩ বার পড়া হয়েছে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি বিতরণের ময়না তদন্ত/Post-mortem examination of government primary school stipend distribution

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষকের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে উপবৃত্তির কিছু বিষয় উপস্থাপন করলাম…

➡️ ওটিপি কেন?
দেশের বিপুল সংখ্যক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আইটি’তে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অনেক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বয়সজনিত কারণে আইটি জ্ঞান সম্পন্ন নন কিংবা বহু বিদ্যালয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়ায় নেট পাওয়া যায় না। সঙ্গত কারণেই ওই সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কোন সহকারী শিক্ষক বা অন্য বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কিংবা কম্পিউটারের ডাটা এন্ট্রির দোকানগুলোতে যেতে হয়। এখন প্রতিবার যদি লগইনের সময় ওটিপি যায় তাহলে সেটা কি বিব্রতকর এবং সময় নষ্ট নয় ? একেতো এই মহান PESP সার্ভার নিশাচর আবার অন্যদিকে অনেক সময় অটো লগআউট হয়ে যায়। যিনি ডাটা এন্ট্রি করবেন তিনি কতবার প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে দিয়ে রাতের বেলা জাগ্রত করবেন?
অতএব, আমি স্পষ্ট ভাবেই বলতে পারি উপবৃত্তির সাথে জড়িত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মাঠ পর্যায়ের জ্ঞান রাখেন না।

➡️ক্যাপচা কেন?
লগইন করার সময় ক্যাপচা এবং ওটিপি যাচাইয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই সার্ভারে প্রবেশ করা হয়। তারপরও কোন ভয়ের তাড়নায় পিতা-মাতার এনআইডি ভেরিফাইয়ের সময় আবার ক্যাপচার অপশন রাখা হয়েছে? আমার দৃষ্টিতে এটা হচ্ছে শোক সমাবেশের ভাষণে পিক করে হেসে দেওয়ার মতো! জরুরি কাজের মধ্যে একটা অপ্রয়োজনীয় কাজ করা- কাজের মধ্যে অনিহা সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছু নয়। সময় নষ্টের বিষয়টি আপনারাই বিবেচনা করুন

➡️ ডিলিট অপশন প্রদানে অনীহা কেন?
উপবৃত্তি PESP সার্ভার এর আওতাধীন যাওয়ার পর থেকে ডিলিট অপশন উচ্ছেদ করা হয়েছে । অথচ এটি অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারতো। তা না করে ট্রান্সফার, সক্রিয়/নিস্ক্রিয় অপশন যুক্ত করা হয়। এই ট্রান্সফার অপশন আমার জানামতো কোনো শিক্ষকই কাজে লাগাতে পারেননি। আমি নিজেও বারবার চেষ্ট করে গ্রহণ/প্রদানে ব্যর্থ হয়েছি।

➡️ KYC’র প্রয়োজন আগে কি ছিলনা?
নগদ কর্তৃপক্ষ প্রথমবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুবিধাভোগীর মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলে দিয়েছেন এবং তখন টাকা In এবং Out দুইটাই হয়েছে। এখন কেন KYC’র এতো প্রয়োজন পরলো? আবার সুবিধাভোগীর NID দিয়ে সিম ও নগদ একাউন্ট হতে হবে এই শর্তের প্রয়োজন কেন হলো ? এই শর্ত ছাড়াই তো অন্যান্য MFS এ লেনদেন হচ্ছে। তাহলে এই অতি সতর্কতার প্রয়োগ গ্রামের অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মানুষ গুলোর উপর কেন করা হচ্ছে? গ্রামের সাধারণ মানুষদের কতজনই বা এইগুলো বুঝেন?

➡️বিদ্যালয় ত্যাগকৃত শিক্ষার্থীর ডাটা সার্ভারে রাখা কেন এত প্রয়োজন?
অনলাইনে উপবৃত্তির কাজ শুরু হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে কোনো স্কুলের কাজ করতে পারনিনি। গুরুত্বপূর্ণ এই কাজের জন্য PESP যথেষ্ট স্ট্রং না- খুবই দূর্বল। দূর্বল এই সার্ভারে যদি অপ্রয়োজনীয় লোড থাকে সে তো গড়িয়ে গড়িয়ে চলবেই। চলে যাওয়া শিক্ষার্থীর তথ্য বাদ দিয়ে দিলে কি সার্ভার ফাস্ট হতো না?

➡️MFS পদ্ধতিতেই কি উপবৃত্তি দিতে হবে?
একটু হিসেব কষে দেখুনতো, উপবৃত্তির তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত যেসব পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে তার পেছনে ব্যয়ের পরিমাণ কত হয়েছে? বর্তমান সার্ভারের নিচে ব্যয়ের পরিমাণটা দেখুন। এই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের নিমিত্তে ব্যয়ের পরিমাণ দেখুন। ডাটা প্রদানের কাজের জন্য প্রদানকৃত ভাতার পরিমাণ দেখুন। অথচ কত বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণি কক্ষ নেই, সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। পৌচাগার ব্যবহারের জন্য নারী শিক্ষকদের জন্য যেতে হয় পার্শ্ববর্তী বাড়িতে।
বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ব্যয় না করে কেন জনগনের টাকা অপচয় করা হচ্ছে দূর্বল সার্ভার ও নিম্নমানের সিস্টেমের পেছনে ? সিস্টেমের দোহাই দিয়ে অপচয়ের দায়ভার কার উপর বর্তাবে?

➡️উপবৃত্তির কাজের জন্য কন্টিজেন্সি দেয়া কি মহাপাপ?
অনলাইনে উপবৃত্তির কাজ শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত খরচের কোনো বিল দেয়া হয় না কেন? দোকান গুলোতে কাজ করাতে বহু টাকা ব্যয় হয়। কোনো ডাটা এন্ট্রি সেন্টার (দোকান) কি শিক্ষকদেরকে ফ্রী কাজ করে দেন? শিক্ষার্থী প্রতি বেশ টাকা খরচ করতে হয় প্রধান শিক্ষককে। অথচ কোনো কন্টিজেন্সি দেয়া হয় না। যা নেহায়েত অন্যায় ও অবিচার। শিক্ষকগন ভয়ে শিক্ষা অফিসার বা কর্তৃপক্ষকে কিছু বলেন না কিন্তু মনে মনে বদদোয়া দেন ঠিকই।

➡️ শিক্ষক-অভিভাবকদের সম্পর্ক নষ্টের দায় কে নিবে?
আমি দেখছি, একটি শিশুকে উপবৃত্তি পাইয়ে দেয়ার জন্য একজন শিক্ষক কতটা শ্রম দেন! সব তথ্য ঠিক থাকার পরও অভিভাবকের মোবাইলে যখন টাকা ঢুকে না স্বাভাবিক ভাবেই শিক্ষককে জবাবদিহিতার মধ্যে পড়তে হয়। কিছু কিছু অভিভাবক অভাবের তাড়নায় হোক আর ঘাড় তেরা টাইপেরই হোক বিনাদোষে শিক্ষক ওই ব্যক্তির রোষানালে পড়েন। এই সম্পর্ক নষ্টের দায় কার? আপসোসের কথা হচ্ছে শিক্ষক লজ্জা শরমে বিষয়টি প্রকাশ্যেও আনেন না।

সর্বোপরি PESP এখন শিক্ষকদের কাছে একটি আতঙ্কের নাম। শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকসহ সকল দিকেই ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকগন। সব ত্যাগ স্বীকার করার পরও যখন ছোট্ট একটা নিষ্পাপ শিশু বড়ো স্যারের দরজার সামনে এসে বলে “সার….. আমার মোবাইলে টেকা আইছে না” তখন শিক্ষকের অনুভুতিটাকে যদি ইনজেকশনের মাধ্যমে PESP কর্তৃপক্ষের শিড়ায় পুশ করা যেত তাহলে হয়তো উনারা বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারতেন।

আমি রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের কোষাগারের এই অপব্যয়ের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করি। যদি সম্ভব হয় তবে সিস্টেম সহজ করুন। আর তা না পারলে শিক্ষকদেরকে এসব কাজ থেকে মুক্তি দিয়ে তাদেরকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে দিন এবং এই কাজগুলো ১০টাকার ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে বিতরণের ব্যবস্থা করুন।
লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট