বাতের ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর কারণ অনেক এবং ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।ছবি: পেক্সেলস
বাহুতে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এর কারণ অনেক এবং ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। এটি প্রতিদিনের জীবনকে ব্যাহত করতে পারে। তাই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।
বাহু ব্যথার কারণ
পেশি বা টেন্ডনের আঘাত: অতিরিক্ত পরিশ্রম, খেলাধুলা বা হঠাৎ কোনো আঘাতের কারণে পেশি বা টেন্ডনে টান লাগলে বা ছিঁড়ে গেলে বাহুতে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
বাতের ব্যথা: হাড়ের সংযোগস্থলের প্রদাহ বা আর্থ্রাইটিস হলো বাহু ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ। এটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস।
স্নায়ুতে চাপ লাগা: মেরুদণ্ডের কোনো স্নায়ু বা নার্ভে চাপ পড়লে বাহুতে ব্যথা, ঝিনঝিন করা বা অসাড়তা অনুভূত হতে পারে।
ফ্রোজেন শোল্ডার: এটি একপ্রকার সমস্যা, যেখানে কাঁধের জয়েন্ট জমে যায়, ফলে হাত নাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে এবং তীব্র ব্যথা হয়।
বারসাইটিস: হাড় ও পেশির সংযোগস্থলে থাকা বারসা নামক তরল–ভরা থলিতে প্রদাহ হলে ব্যথা
প্রতিকার ও প্রতিরোধ
বাহুর ব্যথা কমাতে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করা যায়—
বিশ্রাম: ব্যথার সময় বাহুকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন। যে কাজ করলে ব্যথা বাড়ে, তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ঠান্ডা বা গরম সেঁক: প্রাথমিক অবস্থায় ঠান্ডা সেঁক দিলে ফোলা ও ব্যথা কমতে পারে। এরপর গরম সেঁক দিলে পেশির টান কমে আরাম মিলবে।
হালকা ব্যায়াম: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হালকা ব্যায়াম করলে পেশি সচল থাকে। এতে ব্যথা কমতে পারে।
সঠিক ভঙ্গি: দৈনন্দিন কাজ করার সময় সঠিক ভঙ্গি বা ‘পসচার’ মেনে চললে পেশির ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ কমে।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
যদি বাহু ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে—
ব্যথা যদি তীব্র হয় এবং বিশ্রাম নিলেও না কমে।
যদি বাহু বা হাত নাড়াতে খুব কষ্ট হয়।
বাহুতে বা হাতে অসাড়তা, দুর্বলতা বা ঝিনঝিন অনুভূত হয়।
কোনো আঘাতের পর যদি বাহু বেঁকে যায় বা অস্বাভাবিক দেখায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাহু নাড়াতে কষ্ট হয়, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা যদি ঠিক হয়ে আসে।
বাহুর সন্ধি বা জয়েন্টে যদি ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় কিংবা নাড়াতে কষ্ট হয়।
বাহুর ব্যথাকে কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বড় কোনো সমস্যা মনে হলে নিজে নিজে চিকিৎসা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, সুস্থ থাকুন।সূত্র:প্রথম আলো