বর্তমান সময়ে চুল পড়া, শুষ্কতা ও ধীরগতির বৃদ্ধি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো—ভুল খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টির অভাব ও চাপপূর্ণ জীবন। স্বাস্থ্যকর ও লম্বা চুল কেবল ভালো শ্যাম্পু বা তেল দিয়েই নয়, বরং সুষম খাদ্যের মাধ্যমেও অর্জন করা যায়।
আপনি যদি চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করতে চান এবং চুল পড়া কমাতে চান, তাহলে প্রথমেই সেই ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদানগুলো চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ, যা চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে এবং তাদের সুস্থ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক কসমেটিক স্কিন বিশেষজ্ঞ মিশেল গ্রিনের মতে, চুলের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো চুল পড়া এবং পাতলা হওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। তিনি বলেন, ‘সঠিক চুলের বৃদ্ধির জন্য, ভিটামিন বি, ডি, ই, জিঙ্ক, বায়োটিন ও আয়রনের সুষম গ্রহণ প্রয়োজন। বিশেষ করে ভিটামিন বি৭ অর্থাৎ বায়োটিন এবং বি১২ চুলকে শক্তিশালী করতে এবং নরম ও কোমল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বায়োটিনকে চুলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং নতুন চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। এর অভাবের ফলে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পড়ে যায়। বায়োটিনের চাহিদা পূরণের জন্য, খাদ্যতালিকায় ডিম, বাদাম, আখরোট, ফুলকপি, ব্রকলি ও সয়াজাতীয় পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
বায়োটিনকে চুলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং নতুন চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। এর অভাবের ফলে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পড়ে যায়। বায়োটিনের চাহিদা পূরণের জন্য, খাদ্যতালিকায় ডিম, বাদাম, আখরোট, ফুলকপি, ব্রকলি ও সয়াজাতীয় পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে বায়োটিন সাপ্লিমেন্টও গ্রহণ করা যেতে পারে। বি১২ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যা দুগ্ধজাত পণ্য থেকে পাওয়া যেতে পারে।
ভিটামিন এ আমাদের মাথার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং সিবাম (এক ধরনের প্রাকৃতিক তেল) উৎপাদনে সাহায্য করে, যা চুল শুকিয়ে যাওয়া রোধ করে এবং তাদের বৃদ্ধি উন্নত করে। ভিটামিন এ-এর অভাব মাথার ত্বক শুষ্ক ও জ্বালাপোড়া করতে পারে। গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক, কুমড়া, আম ও দুধের মতো খাবার ভিটামিন এ সমৃদ্ধ।
ভিটামিন ই একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, মাথার ত্বকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি চুলকে শক্তিশালী করে এবং এর চকচকে ভাব বজায় রাখে। সূর্যমুখী বীজ, বাদাম, চিনাবাদাম, অ্যাভোকাডো ও পালং শাকের মতো খাবার ভিটামিন ই-এর ভালো উৎস।
ভিটামিন সি চুলের বৃদ্ধির জন্য কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, যা চুলের গঠন বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। এটি আয়রন শোষণেও সাহায্য করে এবং চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করে। লেবু, কমলা, আমলকী, কিউই, টমেটো ও কাঁচা মরিচ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। আয়রন ও জিঙ্ক চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করতে এবং ভেঙে যাওয়া রোধ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই ভিটামিনের অভাব চুলের অকাল পতন এবং মাথার ত্বকে শুষ্কতা সৃষ্টি করে। খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি, গুড়, বিট, মসুর ডাল, বীজ (কুমড়া, চিয়া) ও বাদাম অন্তর্ভুক্ত করুন।সূত্র : নিউজ ১৮